ভারতের মণিপুর রাজ্যে দুই শিক্ষার্থীকে হত্যার প্রতিবাদে ও ন্যায়বিচারের দাবিতে রাজ্যের রাজধানী ইম্ফলে আজ মঙ্গলবার শত শত শিক্ষার্থী রাস্তায় বিক্ষোভ করেছেন। বিক্ষোভকারীদের সন্দেহ সশস্ত্র বাহিনীর সদস্যরা এ হত্যাকাণ্ড ঘটিয়েছেন।
ক্ষুব্ধ শিক্ষার্থীরা রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের বাসভবন অভিমুখে রওনা হলে নিরাপত্তা বাহিনী কাঁদানে গ্যাসের শেল ও ধোঁয়াবোমা ছুড়ে তাঁদের ছত্রভঙ্গ করে দেয়। এতে বেশ কয়েকজন শিক্ষার্থী আহত হন। তাঁদের অনকেকে হাসপাতালে নিতে হয়েছে।
মোবাইল ইন্টারনেটের ওপর থেকে প্রায় পাঁচ মাস পর নিষেধাজ্ঞা ওঠে যাওয়ার পর সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে দুই শিক্ষার্থীর কয়েকটি ছবি ভাইরাল হয়। এর মধ্যে তাঁদের মরদেহের ছবিও রয়েছে। এরপরই এই বিক্ষোভ দানা বাঁধে।
মণিপুরে জাতিগত সহিংসতা যখন তুঙ্গে, তখন ৬ জুলাই এই দুই শিক্ষার্থী নিখোঁজ হয়েছিলেন। ধারণা করা হচ্ছিল, তাঁদের হত্যা করা হয়েছে।
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ছড়িয়ে পড়া ওই ছবিতে দেখা যায়, ১৭ বছরের এক কিশোরী ও ২০ বছরের এক যুবক সবুজ ঘাসের ওপর বসে আছেন। জায়গাটি জঙ্গলের ভেতরে সশস্ত্র বাহিনীর অস্থায়ী ক্যাম্পের বলে মনে করা হচ্ছে।
টি–শার্ট আর চেক শার্ট গায়ে থাকা যুবকটি একটি ব্যাকপ্যাক ধরে আছেন। তাঁদের পেছনেই বন্দুক হাতে দুজন দাঁড়িয়ে আছেন, এটা বেশ স্পষ্ট। পরের ছবিতে দেখা যায় দুই শিক্ষার্থীর মরদেহ মাটিতে পড়ে আছে।
কয়েকটি সূত্র এনডিটিভিকে জানায়, হত্যার আগে এই কিশোরীকে ধর্ষণ করা হয়েছিল কি না, তা–ও তদন্ত করা হচ্ছে।
ইতিমধ্যে মণিপুর সরকার স্থানীয় লোকজনকে শান্ত ও ধৈর্য ধরার আহ্বান জানিয়েছে। একই সঙ্গে কর্তৃপক্ষকে এই দুজনের অপহরণ ও হত্যার তদন্ত করতে বলেছে। গত সোমবার গভীর রাতে মুখ্যমন্ত্রী এন বীরেন সিংয়ের সচিবালয় থেকে জারি করা এক বিবৃতিতে বলা হয়, রাজ্য সরকার মামলাটি ইতিমধ্যে কেন্দ্রীয় তদন্ত ব্যুরোর (সিবিআই) কাছে হস্তান্তর করেছে।
✅ Click Me ✅