সেই ইউরোপিয়ান ক্লাবগুলোতেই আবার খেলে থাকেন অনেক মুসলিম ফুটবলার। ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনকে সমর্থন করে সরব হয়েছে খেলোয়াড়রা। এদের মধ্যে কেউ কেউ সোশ্যাল মিডিয়ায় ফিলিস্তিনের পক্ষে সমর্থন জানিয়ে পোস্ট করেছেন। আর যার এই পোস্ট করেছেন তারাই পড়েছেন ক্লাবের রোষানলে।
ইতোমধ্যে ফিলিস্তিনের পক্ষ নিয়ে পোস্ট করায় ইউরোপের দুটি ক্লাব থেকে দুই মুসলিম ফুটবলারকে নিষিদ্ধ করেছে। একজন রয়েছেন নিষিদ্ধের তালিকায়। যিনি কিনা এই মুহূর্তে আন্তর্জাতিক ফুটবলে ব্যস্ত। সংশ্লিষ্ট ক্লাব জানিয়েছে উক্ত খেলোয়াড় ক্লাবে ফিরলে তাকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হবে।
সোশ্যাল মিডিয়ায় ইহুদি বিদ্বেষী বক্তব্য রি-পোস্ট করায় আলজেরিয়ান ফুটবলার ইউসেফ আতালকে অনির্দিষ্টকালের জন্য বরখাস্ত করেছে ফরাসি ক্লাব নিস। তার বিরুদ্ধে সন্ত্রাসবাদকে সমর্থন করার অভিযোগ আনে স্থানীয় পুলিশ। পরে ফরাসি কর্তৃপক্ষ সে ব্যাপারে প্রাথমিক তদন্ত শুরু করে। কিন্তু তদন্ত চলাকালেই ক্লাব নিস ইউসেফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নিলো। লিগ ওয়ানের ক্লাবটি এক বিবৃতিতে বিষয়টি নিশ্চিত করেছে।
ইউসেফের বিরুদ্ধে অভিযোগ, তিনি একজন ফিলিস্তিনি ধর্মগুরুর ভিডিও ইনস্টাগ্রামে শেয়ার করেছেন। সেই ভিডিওতে ধর্মগুরুকে ইহুদিদের ধ্বংস করার আহ্বান জানানো হয়েছে। পরে অবশ্য ভিডিওটি সরিয়ে ফেলেন ইউসেফ। কিন্তু তাতেও কাজ হয়নি। ধারণা করা হচ্ছে, আরও কঠিন শাস্তি অপেক্ষা করছে তার জন্য। ইউসেফের বিরুদ্ধে নির্দিষ্ট ধর্মীয় পরিচয়ের মানুষজনের বিরুদ্ধে সহিংসতায় উদ্বুদ্ধ করার চেষ্টা করেছেন এমন অভিযোগ উঠেছে।
এর আগে গত রোববার ফ্রান্সের ফুটবল ফেডারেশন (এফএফএফ) জানায়, তাদের পক্ষ থেকেও ইউসেফের বিরুদ্ধে ব্যবস্থা নেয়া হবে। ফেডারশনের প্রেসিডেন্ট ফিলিপে দিয়ালো ইউসেফের পোস্ট করা বিষয়বস্তুর তীব্র সমালোচনা করেন। তবে রোববার পোস্ট ডিলিট করে সমালোচনার জবাব দিয়েছেন ইউসেফ। ইনস্টাগ্রামে তার ফলোয়ারদের উদ্দেশে তিনি লিখেন, আমি কোনোদিন ঘৃণা ছড়ানোর বার্তা সমর্থন করিনি।
২৭ বছর বয়সী ইউসেফ ২০১৮ সাল থেকে এখন পর্যন্ত নিসের জার্সিতে সব প্রতিযোগিতা মিলিয়ে ১১৭ ম্যাচ খেলেছেন।
উল্লেখ্য, এর আগে গত শুক্রবার সামাজিক যোগাযোগের মাধ্যম ‘এক্স’ এ আলজেরিয়া ও ফিলিস্তিনের পতাকা পাশাপাশি রেখে একটি পোস্ট করেন ইউসেফ। এ নিয়েও ফ্রান্সে তাকে ব্যাপক সমালোচনার মুখে পড়তে হয়।
সুএ: Daily Nayadiganta (নয়া দিগন্ত)